Read more
ওজন কমানো’র জন্য কিছু সাধারন গতিবিধিঃ
আমরা যখন বিশ্রাম করি, তখন আমাদের অধিকাংশ মাংসপেশীগুলি কোন রকম কাজ করেনা। ফলে আমাদের অধিক ক্যালোরীর প্রয়োজন পড়ে না। কোষগুলির বেঁচে থাকার জন্য সামান্য খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে। হৃদয়ের গতিবেগ ধীর হয়ে যায় এবং খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়াও ধীর গতিতে সম্পন্ন হয়। এই সমস্ত কাজের জন্য খুবই কম ক্যালোরীর আবশ্যকতা হয়- প্রতি মিনিটে অর্ধেক থেকে এক ক্যালোরী। শরীরের এই কম ক্যালোরী হারকে বাসাল এবং রেস্টিং মেটাবোলিক রেট বলা হয়ে থাকে (BMR বা RMR)খেলার সময়, ছোটার সময় বা জোগিং করার সময় আমাদের শরীরের মাংসপেশী গুলির অনেক বেশী শক্তির প্রয়োজন হয়। সেটা আমাদের BMR হারের থেকে প্রায় দশ গুণ বেশী হয়। যদি আমরা প্রচন্ড গতিতে ছুটি, তবে প্রতি মিনিটে 12 ক্যালোরীর প্রয়োজন পড়ে। ক্যালোরী গ্রহন এবং সেটা খরচ করার ভারসাম্যতার ওপরেই আমাদের ওজন কমা বা বাড়া র্নিভর করে । যদি আমরা প্রতিদিন 1600 ক্যালোরী গ্রহন করি এবং 1600 ক্যালোরী নিঃশেষিত করি, তবে আমাদের ওজন একটুও বৃদ্ধি পাবেনা।
এই জন্য ওজন কমানোর শুধুামত্র দুটিই প্রক্রিয়া আছেঃ

০১. কম ক্যালোরী যুক্ত ভোজন গ্রহন করুন।
০২. শারীরিক ব্যায়াম করুন।
আমরা এর আগে খাদ্যে অবস্থিত ক্যালোরী সম্পর্কে আলোচনা করেছি… এবার আমরা দেখব শারীরিক ব্যায়াম এ কিভাবে ওজন কমানো যেতে পারে।
শারীরিক গতিবিধির ভিত্তিতে ক্যালোরী খরচকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারেঃ হাল্কা, মধ্যম এবং ভারী।
ওজন কমানো কার্যভিত্তিক গতিবিধি
আরামদায়কঃ অধ্যাপক, দর্জি, নাপিত, মুচি, পাদ্রী, অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী, বাড়িওয়ালা, পিওন, সেবিকা, গৃহিণী ইত্যাদি।

ভারীঃ পাথর খোদাই কারী, কামার, খনিতে কাজ করা কর্মচারী, কাঠুরে ইত্যাদি।
ওজন কমানো’র জন্য কিছু সাধারন গতিবিধিঃ
যদি আপনাকে প্রতি দিন ১-২ ঘন্টা হাঁটার জন্যা বলা হয়, তবে সেটা আপনার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠবে না । কারণ আপনার কাছে এতটা সময় নেই। কিন্তু আপনি প্রতিদিন আধ ঘন্টা হাঁটার জন্য এবং যোগাযোগের জন্য বার তো করতেই পারেন।পারিবারিক সদস্য সহ এক চক্কর ঘুরে আসুন। প্রথম প্রথম বেশী হাটবেন না । ধীরে ধীরে সময় বৃদ্ধি করুন। যদি সম্ভব হয়, তবে লিফ্টের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। আরামদায়ক জুতো ও কাপর পরুন। নিজের বাড়ি, দোকান বা সিনেমা হলের থেকে গাড়ি একটু দূরে পার্ক করুন এবং বাকি রাস্তাটা হেঁটে আসুন অর্থাৎ হাঁটার অজুহাত খুজুন। নিজের বন্ধু আর পরিবার থেকে প্রেরণা গ্রহন করুন। নিজের বাচ্চাদের সাথে খেলুন। জগিং, সাতার, এবং সাইকেল চালানোর মত ভিন্ন-ভিন্ন দৈহিক চর্চা করুন। নিয়মিত ভাবে দিনে একবার – সকালে অথবা সন্ধায় অবশ্যই হাঁটুন।

0 Reviews