Read more
অধিকাংশ লোকের পিঠব্যথার কারণ হলো স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ হলে যে পিঠব্যথা বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের পিঠব্যথা যার কারও হতে পারে তবে ভয় পাবার কন কারন নেই।
আজকাল পিঠব্যথা লোকের সংখ্যা বেঁড়েই চলছে । আসুন জেনে নিন এর মূল কারণ এবং কী ভাবে পিঠব্যথা থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
কারণ
১. হাড়ের ব্যথা, অবশ অনুভূতি, নার্ভের কোনো ক্ষতি, পক্ষাঘাতের লক্ষণ, কোনো ধরনের ইনফেকশন, শিরদাঁড়া অথবা কোনো ধরনের টিউমার – এ সব কারণে পিঠব্যথা হয়ে থাকে। এ ধরনের ব্যথায় সরাসরি ডাক্তার অর্থোপেডিক্স-এর সাথে কথা বলা উচিত।
২. মানসিক ক্লান্তি, কষ্ট, অবসাদ, যন্ত্রণা থেকে পিঠব্যথা হয়ে থাকে। পিঠব্যথা শুরু হয় মস্তিষ্ক থেকে এবং স্ট্রেসের কারণে ছড়িয়ে দেয় পিঠে,’’ বলেন প্রফেসর উলরিশ টি এগলে।
৩. পিঠব্যথাকে সামাজিক ব্যথাও বলা হয়ে থাকে। কারণ চাকরিস্থলে মবিং, পারিবারিক কলহ, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের টানাপড়েন থেকেও হয়। তাছাড়া ডাক্তার যদি কোনো রোগীর পিঠব্যথাকে তেমন গুরুত্ব না দেয়, তা থেকে পিঠব্যথা বেড়ে যেতে পারে বা নতুন করে ব্যথা শুরু হতে পারে।
নিজে যা করা যেতে পারে
১. পিঠব্যথার জন্য সবচেয়ে জরুরি শারীরিকভাবে অ্যাকটিভ থাকা। হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, ব্যায়াম ইত্যাদি তবে প্রতিদিন তা নিয়মিতভাবে করতে হবে।
২. কিছুদিন করার পর যেটা ভালো লাগবে, সেটা বেছে নিয়ে নিয়মিত করলে ব্যথার সমস্যা কেটে যেতে পারে। বিশেষ করে যারা সারাদিন বসে থাকার কাজ করেন, তাদের অবশ্যই কোনো না কোনো ব্যায়াম করা উচিত বলে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য।
৩. মাসাজ বা গরম তাপ পিঠব্যথায় বেশ উপকারে আসে। কারণ মাসাজ বা গরম তাপে শরীরের ভেতরে ভালোভাবে রক্ত চলাচল করে ফলে অনেক আরাম হয়। পিঠব্যথা যদি তিন মাসে ভালো না হয়, অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
৪. বিশেষজ্ঞের মতে, উদ্বেগহীন জীবনযাপন করলে পিঠব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যোগব্যায়ামও মাঝে মাঝে বেশ সাহায্য করে পিঠব্যথার ক্ষেত্রে৷ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনো কোনো ইনজেকশন নেওয়া উচিত নয়।
0 Reviews